Tuesday, May 13, 2014

শরীরচর্চা

     হাতে এখন অঢেল সময়, তার উপরে কদিন পরে বাড়ি গিয়ে আঁশটে পিষ্টে খাবো। যে ওজন টাকে অতি কষ্টে লেটার মার্কস এর নিচে নামিয়েছি তাকে তো আর উপরে উঠতে দেয়া যায়না। অতএব গতকাল সকালে একটু বেশি ই এক্সারসাইজ করে ফেলেছি, যাকে পাতি বাংলা বা আমাদের যাদবপুরিয়ান ভাষায় "বার" খাওয়া বলে আর কি। যাইহোক, বেশি কিছু করিনি, জাস্ট নর্মাল ৩ পাক এর জায়গায় কালকে ৮ পাক রানিং করলাম , তার পরে কিছু ফ্রি হ্যান্ড, একটু উঠক বৈঠক আর নিজেকে আয়নায় মেপে একটা বেশ গর্বিত ফীলিং হোল। যথারীতি আপিস এ এসে রেগুলার কাজ কম্ম শুরু হোল। লাঞ্চ টাইম এ যেই ডাক পড়ল, অনুভাব করলাম য শরীর র মনের মধ্যে কথাও একটা তু তু ম্যায় ম্যায় হয়েছে। মানে চেয়ার থেকে উঠতে চাইছি কিন্তু কেমন যেন পারছি না। অনেক কষ্টে উঠে লাঞ্চ তা করে আসলাম। লোকজন জানতে চাইলে বলেছি ফুটবল খেলতে গিয়ে একটু আধটু লেগেছে আর কি। কিন্তু তার পরে যতবার ই হাঁটছি মনে হচ্ছে সবাই কেমন যেন আমাকে আড়চোখে চেয়ে আছে। টেকনিক্যালি বোঝাতে গেলে শরীর এর নিচের অর্ধাংশ ভারটিকালি আছে আর ঊর্ধ্ব অর্ধাংশ তা যেনও ভারটিকাল এর সাথে ৩০ ডিগ্রি একটা অ্যাংগল করে চলছে। অনেকটা ওই "আঁখে" ছবিতে চাঙ্কি পাণ্ডের "ও লাল দুপাট্টা ওয়ালি" গান টায় কোমর দুলিয়ে নাচ টার মতো। যাইহোক, আপাতত অনেকটা ভাল আর হে এরকম একটা সেলফি পোস্ট করতে একটু রুচিতে বাধছিল বইকি, কিন্তু মনে পড়ল দুর্দিনে ব্যাথা ব্যাদনা শেয়ার করলে নাকি কষ্ট থেকে তাড়াতাড়ি সুরহা মেলে, তাই পোস্ট করলাম
Related Posts Plugin for WordPress, Blogger...